মেধাহীন পেশী রাজনীতির মহড়া প্রসঙ্গ জবাবে তারেক বিন ওসমান শরীফ
অধ্যক্ষ ,হোয়ানক কলেজ, মহেশখালী ।
রাজনীতিতে কালার মার ছড়াঃ
মেধাহীন পেশী রা
খুন সহানুভূতি আর তার আলোকে দাবিয়ে রাখার রাজনীতি কালামারছড়ার স্থায়ী আয়োজন। অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী, অল্প বয়সে নেতৃত্ব তার চেয়েও বেশি ভয়ংকরী। এলাকা এলাকায় পাড়ায় পাড়ায় তরুণ যুবকের ছড়াছড়ি কারোও হাতে দা, বন্দুক, বেশিরভাগের হাতে সিগারেট, ইয়াবা, গাঁজা নিত্যসঙ্গী। মোড়ে মোড়ে ঈগল দৃষ্টি। রাজনীতিতে যারা আছেন স্বকীয়তা নেই, স্বাধীনতা নেই। কারো না কারো গোলাম হয়ে কাজ করছে। দু‘চারজন যারা আছেন স্বাধীনভাবে কাজ করার পক্ষপাতী তারা এলাকা ছাড়া নিজেদের অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা ও পারিবারিক লেজুড়বৃত্তিক স্বভাবের কারণে।
আগে সশরীরে এলাকা দখল করে উপনিবেশ বানাতো। এখন পুঁজি খাটিয়ে দালাল সৃষ্টি করে উপনিবেশ বানায়। বর্তমানে মহেশখালী চীন-জাপান সিঙ্গাপুরের উপনিবেশে পরিণত হতে যাচ্ছে। এখানে দালালের অভাব নেই। ওদের পুঁজি এখন অনেকের পকেটে ঢুকে গেছে এবং তাদের গোলামী করে টাকার মালিক বনে যাচ্ছে। চিনা কোম্পানি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ভূমিকায় অবতীর্ণ। কালামারছড়ার নেতৃত্ব তাদের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে এবং তাদের আনুকূল্যে অর্থবিত্ত প্রতিপত্তির অধিকারী হচ্ছে। জনগণের অধিকার বিক্রি করে কোটি টাকার মালিক হয়ে দান দরবার করে স্বাধীনতা বিপন্ন করে হৈ-হুল্লোড়ে আনন্দে আনন্দে নেচে বেড়াচ্ছে। প্রতিবছর দানের হিসেব নিলে সহজেই বুঝা যাবে এ টাকা আসে কোত্থেকে থেকে। নির্বাচনী হলফনামায় আয়ের উৎস ও পরিমাণ এবং দানের পরিমাণ তুলনা করলে খালি চোখেই ধরা পড়বে। মদ খেলে পৃথিবী ভুলে আনন্দ পায়, গাঁজার নেশা রাজা বানাই, ইয়াবা কেড়ে নেয় ঘুম, খুন করে খুনি হাসে অট্টহাসি দিয়ে। বিদেশির পুজি নিজেদের পকেটে নিয়ে দেশ বিক্রি করে দালাল হাসে মোনাফেকীর হাসি।কালারমার ছড়ায় এদের ছড়াছড়ি চোখে পড়ার মতো। মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা নেই। চারিদিকে তাকিয়ে কথা বলতে হয়। মোড়ে মোড়ে ঈগল দৃষ্টি ছু মারতে পারে সহজেই। পুরো পাড়া বাড়ি হারা। বাড়ি যা ছিল বিলীন করা হলো। আবাদি জমিতে পরিণত হলো। ছেলেমেয়েদের খেলার মাঠ। একদিন এই জমিতে লোক ছিল। বাচ্চা জন্মাতো, গাছপালা ছিল। পুরো পরিবার ঘর হারা, ঘর ছাড়া। স্বাধীন দেশে ইহুদি যাযাবর বেদুঈন। এরা ইহুদি ছিল না। বড় ধরনের নেতৃত্ব এদের নেই, পাকিস্তানি বিহারীও ছিল না, তারপরও এরা ঘর হীন স্বাধীন দেশে। সরকারের কোন আইনে নয় শুধু পেশীশক্তির কার্যকর প্রয়োগে।
খুনের মহড়া চলে প্রতিবছর। পশ্চিম দিকে লবণের মাঠ চিংড়ি ঘের জোর জবরদস্তির আখড়া। মূল মালিকরা জমির ইজারা পায় খুব কম। নানা সিন্ডিকেটে জিম্মি করে রেখেছে। যা দেয় তা নিতে হয় আর কেউ যদি না আসে তার টাকা থলেতে থাকে। তামাদি আইনে টাকা গুলো নিজের হয়ে যায়। যেখানে নিলামের ব্যবস্থা আছে সেখানে দেখা যায় প্রতি কানি জমির ইজারা ৪ থেকে ৭ হাজার টাকা হলে সিন্ডিকেটে জমিতে ইজারা মূল্য হয় ১ থেকে ৩ হাজার টাকা। লবণের মৌসুমে ৫০ কেজিতে মণ আমাদের। চাষীদের জোর করে ঠকায়।
উচ্চশিক্ষিতরা স্বেচ্ছায় পলাতক। মাতৃভূমির উন্নয়নে যাদের অংশগ্রহণ সবচেয়ে অগ্রগণ্য তারাই সবচেয়ে পিছিয়ে। কালারমারছড়ায় অনেক উচ্চ শিক্ষিত লোকের অবস্থিতি আছে কিন্তু তাদের অভিভাবকত্ব নেই। যারা নেতৃত্ব আছেন কিংবা আগামীতে নেতৃত্বে আসতে পারেন বলে ভাবা যায় তাদের অধিকাংশ অর্ধশিক্ষিত পেশীশক্তির ধারক-বাহক। কালারমারছড়ার জনগণ শক্তিমান কাউকে ভাবতে শিখেছে। তাদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার ফল শক্তিমান কে হারাতে শক্তিমানের দরকার। যেখানে শক্তির মহড়া সেখানে অন্য শক্তিই কাম্য। শক্তি প্রতিহিংসা ক্ষোভ যাতনা তৈরি করে। সেনাবাহিনী যেমন বেশিদিন ক্ষমতায় টিকিয়ে থাকতে পারেনা তেমনি শক্তিমানেরাও বেশিদিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনা। "মানুষ পিতৃ হত্যাকারীকে ভুলতে পারে কিন্তু পৈত্রিক সম্পত্তি হরণকারী কে কখনো ভুলতে পারে না"। কালামারছড়া পৈত্রিক সম্পত্তি হরণকারী সংখ্যা নগণ্য নয়। বংশ পরম্পরায় ক্ষোভ চলতেই থাকবে। পুত নাতিদের বলে যাবে যারা আমাদের সম্পত্তি হরণ করেছে তোমরা তাদের দেখে নিও। ওরা আমাদের ঘর ছাড়া করেছে জীবনে কখনো ভুলবি না, ভুলবে না। তড়িৎ সমাধান জরুরী।
৭১ পরবর্তী সময়ে বোঝাপড়ার মাধ্যমে আপোষরফায় মিলিত হয়ে এলাকা পরিচালিত হয়। এলাকার তথাকথিত পিতৃ হত্যাকারীদের সাথে আপোষরফায় মিলিত হয়ে তাদের আনুকূল্য কামনায় সফলকাম হয়ে নির্বাচনে জয়লাভের ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়। পারিবারিক দ্বন্দ্ব ক্ষমতার মোহ সেই পরিবেশকে বিপন্ন করে এবং পারস্পরিক মনোমালিন্যের কারণে স্থিতিশীল পরিবেশ বিপন্ন হতে থাকে। অযোগ্য নেতৃত্ব হিংসার জন্ম দেয় এবং এলাকায় পেশী শক্তির মহড়া দেখা দেয়।
শক্তিমানের পরিণতি যা হবার তাই হয়ে গেল ক্ষমতার বদল হলো। মাঝখানে যারা ক্ষমতায় এলেন আর গেলেন তারাও তাদের নিজস্ব স্বকীয়তায় স্বাধীনতা চর্চারর সুযোগ তৈরীতে ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন।
ঘুরে ফিরে মৃত্যুর সহানুভূতি অধিষ্ঠিত হলো।
অল্পবয়স্ক অর্ধশিক্ষিত নেতৃত্ব ভয়ঙ্কর রূপে আবির্ভূত। কালামারছড়ার জনগণ আরেক শক্তিমানের খুঁজে মগ্ন। চীনের টোপ খেয়ে খেই হারানো যুবক দেশ বিক্রিতে প্রথম হওয়ার সম্ভাবনা। জনগণ সঠিক নেতৃত্বের আকাঙ্ক্ষা করতে দ্বিধাগ্রস্থ। জেল জুলুম মামলা হামলা মাথায় নিয়ে দেশ পরিচালনা কঠিন ব্যাপার। কালারমার ছড়া মস্ত বড় সমস্যার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। কেউ পৈতৃক সম্পত্তির দাবিদার কেউ পিতৃ হত্যাকারীদের খুঁজতে সজাগ। এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক কর্ম এগুনো কঠিন কাজ। এই কঠিন সময়ের ভেতর সহজ-স্বাভাবিক সুন্দরকে ধারণ করতে পারে এমন লোকের সম্ভাবনা নিকট ভবিষ্যতে বিরল।
কালার মার ছড়া কালাই ছড়াবে নামটা বদলে দেয়া উচিত।
এ প্রসঙ্গে কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান
তারেক বিন ওসমান শরীফ বলেন |
হোয়ানক কলেজ এর সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত অধ্যক্ষ জনাব সরওয়ার কামাল,
আপনার কাছে একটি প্রশ্ন রেখে বলতে চাই ,আপনি গত হোয়ানক ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে কার পক্ষে ছিলেন?
উত্তর নিশ্চয় আপনার আপন ভাই ,বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তাফার পক্ষে?
সে ঐ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলো।এর এক বছর পর, কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি জনগনের ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। আপনার খালাত ভাই সেলিম চৌধুরীকে ৮০০০ ভোটে পরাজিত করে।কিন্তু আপনার ভাই কেমন করে চেয়ারম্যান হয়েছে সেটা মহেশখালীর সবাই জানে।
আর আমি কিভাবে চেয়ারম্যান হয়েছি তাও জানে। আপনি অনেক বড় উচ্চ শিক্ষিত বুদ্ধিজীবী।কিন্
আপনার ভাই নির্বাচনের আগে আমাদের পায়ে ধরতে এসেছিল আমরা যায়নি।আর আপনি যে কলেজের অধ্যক্ষ সেই কলেজ প্রতিষ্টার সময়, আপনার পিতা আমার বাবা থেকেও আর্থিক সহযোগিতা নিয়েছিলেন।
আমার ইউনিয়নের কথা রাখেন,আপনার ইউনিয়নের জনগন যদি,আপনার চেয়ে অনেক বেশি সমর্থন আমাকে না করে তাহলে ,এই জীবনে আর রাজনীতি করবনা।
কারন আমি আপনার মত অথর্ব নই.,,, আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের অপেক্ষায় রইলাম ,নিশ্চয় জবাব পেয়ে যাবেন,,,,নিশ্চয়
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন